গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের ১৯ মাস পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সামরিক অভিযান তার মূল কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল এই অভিযানের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন, বিশেষ করে হামাসকে নির্মূল করে দেওয়া। শুরু থেকেই পশ্চিমা শক্তিগুলো ইসরায়েলের এই আক্রমণকে প্রায় নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। তারা বলেছে, এটা ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার জন্য’ বৈধ পদক্ষেপ।
কিন্তু পশ্চিমাদের এই সমর্থন এবং স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পরও ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভাঙতে পারেনি ইসরায়েল। গাজা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো তাদের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারা অব্যাহতভাবে রকেট ছুড়ছে। সামরিক বিবেচনায় জটিল অভিযানও তারা পরিচালনা করছে।
যেমন গত মাসে গাজার বেইত হানুনের কাছে তারা হামলা চালিয়েছে। হামাস যোদ্ধারা একটি সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে ইসরায়েলি সামরিক যান লক্ষ্য করে আক্রমণ করে। এতে তিনজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়। উদ্ধারকারী বাহিনী সেখানে পৌঁছালে হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে একজন ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত হন।